Strong Roots by APJ Abdul Kalam text with meaning in Bengali

Strong Roots story in Bengali । Strong Roots by APJ Abdul Kalam text with meaning in Bengali । Strong Roots story in Bengali for class -12 WBCHSE 




                      Strong Roots

                 APJ ABDUL KALAM



I was born into a middle- class Tamil family in the island town of Rameswaram in the erstwhile Madras state. My father, Jainulabdeen, had neither much formal education nor much wealth; despite these disadvantage, he possessed great innate wisdom and a true generosity of spirit. He had an ideal helpmate in my mother Ashiamma. I do not recall the exact number of people she fed every day, but I am quite certain that far more outsiders ate with us than all the members of our own family put together.

আমি জন্মেছি তখনকার মাদ্রাজ রাজ্যের দ্বীপশহর রামেশ্বরমের এক মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে। আমার বাবা জৈনুলআবদিনের তেমন কোনো প্রথাগত শিক্ষা কিংবা ধনদৌলত ছিল না। এ সমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও সহজাত জ্ঞান ও হৃদয়ের প্রকৃত মহানুভবতা তাঁর ছিল। আমার মা আশিয়াম্মার মধ্যে তিনি খুঁজে পান এক আদর্শ জীবনসঙ্গীকে। প্রতিদিন ঠিক কতজনকে মা খাওয়াতেন তার সঠিক সংখ্যাটা আমার না মনে পড়লেও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে আমাদের পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক বাইরের লোক আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত।

My parents were widely regarded as an ideal couple. My mother's lineage was the more distinguished, one of her forebears having been bestowed the title of ‘Bahadur’ by the British.

বহু মানুষের চোখে আমার বাবা-মা ছিলেন এক আদর্শ দম্পতি। আমার মায়ের ছিল তুলনামূলকভাবে উচ্চ বংশ কেন-না মায়ের এক পূর্বপুরুষকে ব্রিটিশরা ‘বাহাদুর’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিল।

I was one of many children- a short boy with rather  distinguished book looks, born to tall and handsome parents. We lived in our ancestral house, which was built in the middle of the 19th century. It was a fairly large pucca house, made of limestone and a brick, on the Mosque Street in Rameswaram. My austere father used to avoid all inessential comforts and luxuries. However, all necessities were provided for, in terms of food, medicine or clothing. In fact, I would say mine was a very secure childhood, materially and emotionally.

আমি ছিলাম অনেক সন্তানের একজন - লম্বা, সুদর্শন মা-বাবার তুলনায় বরং ছোটখাটো সাদামাটা চেহারার বালক। আমরা আমাদের পৈতৃক বাড়িতে থাকতাম যেটা উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয়েছিল। বেশ বড়োসড়ো পাকা বাড়িটি রামেশ্বরমের মস্ক্ স্ট্রিটে চুনাপাথর ও ইট দিয়ে তৈরি ছিল। আমার সরল ও সাধাসিধে বাবা সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় আরাম ও বিলাসিতা পরিহার করে চলতেন। তবে আমার খাবার, ওষুধ, পোশাক ইত্যাদি সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসই তিনি দিতেন। আসলে বস্তুগত বিচারে এবং আবেগগত দিক থেকে আমার শৈশব ছিল নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ।

I normally ate with my mother, sitting on the floor of the kitchen. She would place a banana leaf before me, on which she then ladled rice and aromatic sambar, a variety of sharp, home-made pickle and a dollop of fresh coconut chutney.

আমি সাধারণত রান্নাঘরের মেঝেতে বসে মায়ের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতাম। তিনি আমার সামনে একটা কলাপাতা পেতে দিয়ে তাতে ভাত এবং সুগন্ধি সম্বর ঢেলে দিতেন, আর দিতেন ঘরে তৈরি এক ধরনের ঝাল আচার ও কিছুটা নারকেলের চাটনি।

The Shiva temple, which made Rameswaram so famous to pilgrims, was about a ten-minute walk from our house. Our locality was predominantly Muslim, but there were quite a lot of Hindu families too, living amicably with their Muslim neighbours. There was a very old mosque you in our locality where my father would take me for evening prayers. I had not the faintest idea of the meaning of the Arabic prayers chanted, but I was totally convinced that they reached God. When my father came out of the mosque after the prayers, people of different religions would be sitting outside, waiting for him. Many of them offered bowls of water to my father, who would dip his fingertips in them and say a prayer. This water was then carried home for invalids. I also remember people visiting our home to offer thanks after being cured. Father always smiled and asked them to thank Allah, the merciful.

যে শিব মন্দিরের জন্য রামেশ্বরম তীর্থযাত্রীদের কাছে এত সুপরিচিত সেটি আমাদের বাড়ি থেকে দশ মিনিটের হাঁটাপথ‌। আমাদের এলাকাটি মূলত মুসলিম-অধ্যুষিত; তবে বেশ কিছু হিন্দু পরিবারও সেখানে তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করত। আমাদের এলাকায় একটি বেশ পুরোন মসজিদ ছিল যেখানে বাবা আমাকে সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনার জন্য নিয়ে যেতেন। আরবি ভাষায় উচ্চারিত সেই প্রার্থনার অর্থ বিন্দু-বিসর্গও আমি বুঝতে পারতাম না, কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ওই প্রার্থনা আল্লার কাছে পৌঁছোত।
প্রার্থনার পর আমার বাবা যখন মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসতেন, তখন বিভিন্ন ধর্মের অনেক মানুষ বাইরে বসে তাঁর জন্যে অপেক্ষা করতেন। তাদের অনেকে তাঁর সামনে জলপূর্ণ বাটি ধরতেন, তিনি ওই জলে আঙুলের ডগা ডুবিয়ে কিছু একটা প্রার্থনা করতেন। এই পবিত্র জল তাঁরা অক্ষম রোগীদর জন্য বাড়ি নিয়ে যেতেন। আমার এও মনে পড়ে যে অনেক লোক সুস্থ হয়ে আমাদের বাড়িতে আসতেন বাবাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। বাবা সবক্ষেত্রেই মৃদু হেসে তাঁদেরকে বলতেন দয়ালু আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাতে।

The high priest of Rameswaram temple, Pakshi Lakshmana Sastry was a very close friend of my father's. One of the most vivid memories of my early childhood is of the two men, each in traditional attire, discussing spiritual matters. When I was old enough to ask questions, I asked my father about the relevance of prayer. My father told me there was nothing mysterious about prayer. Rather, prayer made possible a communion of the spirit between people.“When you pray, he said, “you transcend your body and become a part of the Cosmos, which  knows no division of wealth, age, caste, or creed.”

রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষী লক্ষণ শাস্ত্রী ছিলেন বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। খুব ছোটবেলার উজ্জ্বল স্মৃতিগুলোর মধ্যে একটি হলো এই দুজনের প্রথাগত পোশাক পরিহিত অবস্থায় আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা। যখন প্রশ্ন করার মত বড়ো হলাম তখন বাবার কাছে প্রার্থনার গুরুত্ব জানতে চাইলাম। বাবা বললেন প্রার্থনার মধ্যে কোন রহস্য নেই। বরং এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের আত্মিক মেলবন্ধনের উপায়। তিনি বললেন, “প্রার্থনা করার সময় তুমি তোমার দেহজ অস্তিত্বের সীমা অতিক্রম করে বিশ্বজগতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাও যেখানে ধনদৌলত, বয়স,জাত, বা ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই।”

My father could convey complex spiritual concepts in very simple, down-to-earth Tamil. He was told me, “in his own time, in his own place, in what he really is, and in the stage he has reached-good or bad-every human being is a specific element within the whole of the manifest divine Being. So why be afraid of difficulties, sufferings and problems? When troubles come, try to understand the relevance of your sufferings. Adversity always presents opportunities for introspection.”

জটিল আধ্যাত্মিক বিষয়ও আমার বাবা খুব সহজ-সরল বোধগম্য তামিল ভাষায় বোঝাতে পারতেন। একবার তিনি আমায় বলেন, “প্রতিটি মানুষ নিজের কালে ও স্থানে সে সত্যিকারের যা এবং ভালো কিংবা মন্দ যে অবস্থায় সে পৌঁছোক না-কেন, সে হলো সমগ্র ঐশ্বরিক সত্তার বিশিষ্ট অংশবিশেষ। তাই প্রতিকূলতা, যন্ত্রণা ও সমস্যার আগমনে ভীত হবে কেন ? দুঃখ-কষ্ট এলে তোমার এই যন্ত্রণার প্রাসঙ্গিকতা বোঝার চেষ্টা করবে। দুঃসময় সবসময় আত্মসমীক্ষার সুযোগ দেয়।”

“Why don't you say this to the people who come to you for help and advice?” I asked my father. He put his hands on my shoulders and looked straight into my eyes. For quite some time he said nothing, as if he was judging my capacity to comprehend his words. Then he answered in a low, deep voice. His answer filled me with a strange energy and enthusiasm: “Whenever human beings find themselves alone, as a natural reaction, they start looking for company. Whenever they are in trouble, they look for someone to help them. Whenever they reach an impasse, they look to someone to show them the way out. Every recurrent anguish, longing, and desire finds its own special helper. For the people who come to me in distress, I am but a go-between in their effort to propitiate demonic forces with prayers and offerings. This is not a correct approach at all and should never be followed. One must understand the difference between a fear-ridden vision of destiny and the vision that enables us to seek the enemy of fulfillment within ourselves.”

আমি বাবার কাছে জানতে চাইলাম, “আপনার কাছে যারা সাহায্য ও পরামর্শ জন্য আসে, তাদেরকে আপনি এসব কথা বলেন না কেন ? বাবা আমার কাঁধের উপর হাতদুটো রেখে সোজা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। বেশ কিছুক্ষণ কিছুই বললেন না, যেন তাঁর কথা বুঝতে পারার মতো ক্ষমতা আমার কাছে আছে কিনা তা বিচার করেছিলেন। তারপর নিচু স্বরে গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে তিনি উত্তর দিলেন। তাঁর উত্তর আমাকে এক অদ্ভুত প্রাণশক্তি ও উত্তেজনায় ভরিয়ে দিল। 
“যখন মানুষ দেখে যে সে নিঃসঙ্গ, স্বাভাবিকভাবেই সে সঙ্গী খুঁজতে শুরু করে। যখন এসেই ঝামেলায় পড়ে সে এমন একজনকে খোঁজে যে তাকে সাহায্য করতে পারে। যখন সে পথ খুঁজে পায় না, সে এমন একজনের সন্ধান করে যে পথ দেখাতে পারে। বারংবার ফিরে ফিরে আসা প্রতিটি যন্ত্রণা, তৃষ্ণা এবং আকাঙ্ক্ষা খুঁজে পায় উপযুক্ত বিশেষ সাহায্যকারী। যারা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে আমার কাছে আছে, আমি তাদের প্রার্থনা ও অর্ঘ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে তুষ্ট করার কাজে মাধ্যমের ভূমিকা পালন করি। এটি একেবারেই সঠিক পন্থা নয় এবং এই পন্থা অনুসরণ করা উচিত নয়। অদৃষ্ট সম্পর্কে ভীতিপ্রদ ধারণা পোষণ করা আর নিজেদের ভেতরে বসবাসকারী আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাধা সৃষ্টিকারী শত্রুর মধ্যে পার্থক্য আমাদের বুঝতে হবে।”

I remember my father starting his day at 4 a.m. by reading the namaz before dawn. After the namaz, he used to walk down to a small coconut grove we owned, about four miles from our home. He would return with about dozen  coconut tied together thrown over his shoulder, and only then would he have his breakfast. This remained his routine even when he was in his late sixties.

মনে পড়ে বাবা ভোর হওয়ার আগেই চারটের সময় নামাজ পড়ে দিন শুরু করতেন। নামাজের পর তিনি হেঁটে বাড়ি থেকে মাইল চারেক দূরে আমাদের ছোট নারকেল বাগান যেতেন। ফিরতেন ডজনখানেক নারকেল একসঙ্গে বেঁধে কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে এবং তারপর তিনি তাঁর জলখাবার খেতেন। বয়স যখন ষাটের ঘরের শেষ দিকে তখনও এই ছিল তাঁর রোজকার রুটিন।

I have throughout my life, tried to emulate my father in my own world of science and technology. I have endeavoured to understand the fundamental truths revealed to me by my father, and feel convinced that there exists a divine power that can lift one up from confusion,misery, melancholy and failure, and guide one to one's true place. And once an individual severs his emotional and physical bond, he is on the road to freedom, happiness, and peace of mind.

সারা জীবন ধরে আমি নিজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে বাবাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। বাবা যে মৌলিক সত্যকে আমার সামনে মেলে ধরেছেন তা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছি। এবং আমি নিশ্চিত ভাবে অনুভব করেছি যে এক ঐশ্বরিক শক্তি বিরাজমান যা ব্যাক্তি-মানুষকে ভ্রান্তি থেকে, দুর্দশা থেকে, বেদনা এবং ব্যর্থতা থেকে তুলে নিয়ে যেতে পারে তার প্রকৃত স্থানে। একবার যদি কেউ মানসিক ও জাগতিক বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারে, তাহলে সে পৌঁছে যেতে পারে মুক্তি, সুখ ও মানসিক শান্তির পথে।





Post a Comment

0 Comments